ট্যুরিস্ট পুলিশঃ
ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের পর্যটন স্পটসমূহে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানকারী গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট। এই ইউনিট প্রধানের পদমর্যাদা অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি)।
ট্যুরিস্ট পুলিশের আত্নপ্রকাশঃ
পর্যটন শিল্প বিকাশে অন্যতম প্রধান শর্ত এ শিল্পের নিরাপত্তা। স্বাধীনতার অব্যহতির পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কপোর্রেশন গঠন করে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের শুভ সূচনা করেন। পর্যটন শিল্পকে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার চাদরে আবৃত করে দেশের সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে তাঁর সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে জাতীয় পর্যটন নীতিমালা ঘোষণা করেন। সেই নীতিমালার ৬.৯ অনুচ্ছেদে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ট্যুরিস্ট স্পটসমূহে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েনের বিষয় উল্লেখ করেন। পরবতীর্তে ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ’ নামক বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা হয় এবং ২০২০ সালের ০৩ জুন ট্যুরিস্ট পুলিশ বিধিমালা ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ বিধিমালা, ২০২০’ শিরোনামে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশকে পর্যটকদের জন্য একটি নিরাপদ গন্তব্যে পরিণত করা ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে শুরু থেকেই ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সংগঠনঃ (বান্দরবান জেলা)
* ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান রিজিয়ন।
* ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোন।
* ট্যুরিস্ট পুলিশ থানচি জোন।
অফিসঃ মেঘলা তালুকদার পাড়া, মেঘলা, বান্দরবান।
এক নজরে বান্দরবান পার্বত্য জেলাঃ
*বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা বান্দরবান।
*১৯৮১ সালের ১৮ ই এপ্রিল জেলা হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছিল।
*উত্তরে রাঙ্গামাটি জেলা, দক্ষিণে আরকান (মায়ানমার), পূর্বে চীন প্রদেশ (মায়ানমার) এবং রাঙ্গামাটি জেলা, পশ্চিমে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা দ্বারা বেষ্টিত।
*১১ টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ও বাঙ্গালীরা এখানে বসবাস করে।
*এর আয়তন ৪৪৭৯.০২ বর্গ কিলোমিটার।
*জেলার মোট জনসংখ্যা ৪,৮০,৬৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৪৬৫৯০ জন এবং মহিলা ২৩৪০৩৫ জন।
*জেলার মোট জনসংখ্যার ৫২.৬৮ মুসলিম, ৩.৪২ হিন্দু, ২৯.৫২ বৌদ্ধ, এবং ৯.৭৮ খৃস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
*বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হচেছ চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তনচঙ্গা, বম, ম্রো, চাক, লুসাই, খেয়াং, খুমি, ও পাংখোয়া।